সাতক্ষীরায় দিগন্ত পরিবহনের একটি নৈশ কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় পরিবহনের ১৩ জন যাত্রী আহত ও হেলপার শাহাদত হোসেন নিহত হয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত চারটায় সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাহার আলী তরফদারের ছেলে আব্দুর রউফ, দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের তারক চন্দ্র ঘোষের ছেলে তপন ঘোষ, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান। এছাড়া চায়না ও আব্দুল্লাহ নামে দুইজনের ঠিকানা জানা যায়নি।
প্রথম পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও শেষের দুইজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনি সাতক্ষীরায় আসার উদ্দেশ্যে বুধবার রাতে যশোরের চাঁচড়া থেকে সাতক্ষীরাগামি দিগন্ত পরিবহনে একটি গাড়িতে ওঠেন। পথে ঘুম লাগার কারণে নাভারণ ছাড়ার পর চালক বার বার ব্রেক কষছিলেন।
পথিমধ্যে পরিবহনটি বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে পৌঁছালে ঘুমের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আশা সমিতির পাশে একটি গাছের সাথে গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে ওই গাছটি পরিবহনের সামনে ঢুকে যায়। এসময় পরিবহনটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে তিনি ও হেলপারসহ কমপক্ষে ১৩ যাত্রী আহত হন। পরিবহনে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলো বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল হক জানান, আশঙ্কাজনক হওয়ায় চায়না ও আলমগীরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গাছ কেটে যাত্রীদের বের করার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নায়েব আলী আহত হন। এ ঘটনায় হেলপার শাহাদাত নিহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক জানান, দুর্ঘটনায় গাড়ীর হেলপার নিহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম